আজকে সন্ধ্যায়
ইচ্ছেমত বৃষ্টিতে ভিজেছি।শীতকাল এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি বিধায় এটাকে শীতের বৃষ্টিই বলি, নাকি? অনেকদিন পর শীতের বৃষ্টিতে ভিজেছি।বৃষ্টিতে
ভেজা আমার একটা পাগলামো এবং শীতের বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। শুধু বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটার স্বাদ পেতে মন চায়।
শাহবাগ থেকে
হাঁটা শুরু করেছি এবং ধানমণ্ডিতে এসে বৃষ্টির সাথে-সাথে নূপুর ছন্দে বয়ে যাওয়া হাওয়া এবং মর্মর পাতার আস্ফালন নিয়ে দাঁড়িয়ে
থাকা গাছ গুলোর নীচে হেঁটেছি।
রাস্তা গুলো এমন
ছিল, মনে হচ্ছিল এই সন্ধ্যায়
ঢাকার একটি অংশ আংশিক ঘুমিয়ে পড়েছে - আমার হাঁটার শব্দ এবং বৃষ্টির টাপুরটুপুর
ছাড়া আর কোন শব্দই নেই। হঠাৎ করে আকাশের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া বিদ্যুতের ঝলকানি
এবং মেঘের গর্জন জনমানবহীন রাস্তায় একটা রোমাঞ্চকর পরিবেশের সৃষ্টি করছিল।হুম, মেঘের গর্জনকে একটা উপহারই বলা যায়।
বৃষ্টিতে মেঘের গর্জন না থাকলে বোঝা যায় না যে আকাশেরও অভিমান আছে।
ধানমণ্ডি ৪ থেকে
৮ নম্বর ব্রিজ তারপর মহিলা কপমপ্লেক্সের রাস্তা হয়ে ৩২ নম্বর ব্রিজ পাড় হয়ে ২৭
নম্বরে এসে কস্তুরি গ্রিল হাউজে গরম, গরম গ্রিলের স্বাদ গ্রন করতে, করতে টের পেলাম
হাত এবং শরীর নড়ছে না।
শীতকালের বৃষ্টি
শরীর অবশ করে দেয়। এই অনুভূতি ভুলেই গিয়েছিলাম আজকে বহু বছর পর আবার সেটা টের পেলাম।শরীর অবশ হলেও মন ছিল সতেজ। হাজার হলেও
শীতের বৃষ্টির স্বাদ পাওয়া গেছে।
ধন্যবাদ
ফয়সাল সিজার
No comments:
Post a Comment