১। “আমি বোর্ডে গিয়েছি, এনওসির ব্যাপারে কথা বলেছি। সুজন ভাই, আকরাম ভাইয়ের সঙ্গে
কথা বলেছি। আমি প্রশিক্ষকের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি, আমি পরদিন চলে
যাচ্ছি, তাই আর ট্রেনিং করবো না। ও বলেছে, ঠিক আছে।”- সাকিব আল হাসান।
তোমার মতো
প্রফেশনাল ক্রিকেটারের কি শুধু মৌখিক কোথার ওপর ভিত্তি করে কাজ করা উচিৎ? এত
রিলাকটেন্ট আচরন কি তোমার হওয়া উচিৎ? এই যুগে মুখের কথার ওপর কতটুকু আস্থা
রাখা যায়?
আর আমার তো
মনে হয় আমাদের দলের কয়েক জন ক্রিকেটার ছাড়া বেশীরভাগই এরকম হেয়ালি এবং আনপ্রফেশনাল। এসব ক্ষেত্রে কি বিসিবির কোন
ইডুকেশন প্রোগরাম নেই? যত দূর জানি, প্রত্যেক ক্রিকেট বোর্ডেরই প্লেয়ারদের মধ্যে
প্রফেশনালিসম এবং ডিসিপ্লিন গ্রো করার জন্য ইডুকেশন প্রোগরাম রয়েছে। আমাদের কি
সেটা আছে? নাকি ওটার জন্য যা অর্থ বরাদ্ধ হয় সেটা নিজেদের পকেটে যায়?
২। “এই অনুমতিটা নিতে হবে সিইও-র কাছ থেকে। অনাপত্তিপত্র নিয়ে যাবার জন্য তাকে দুদিন অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু সে অপেক্ষা না করে সেদিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।” বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুস
‘ভাই’য়েরা এখনো চুপ কেন? যদি মৌখিক অনুমতি দেবার
কোন নিয়ম না থাকে তাহলে ওনারা দিলেন কেন? এই ‘ভাই’দের
বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেওয়া হবে না? ওনারা কি নিয়ম ভাঙ্গেন নাই?
৩। “আমি বিতর্কে আসতে চাই না। কোন তর্ক-বিতর্কে থাকতে চাই না। চাই ক্রিকেট খেলতে। কারণ এটা আমার সবচেয়ে বড় প্যাশন। ক্রিকেট আমার ভালো লাগে। ক্রিকেট না খেললে আমার পক্ষে চলা খুবই কষ্টের একটা বিষয়।”সাকিব আল
হাসান
কিন্তু তুমি
বিতর্কে বার, বার জড়াচ্ছ কেন? সাকসেসফুল লোকদের পিছে খারাপ লোক লাগবেই। কিন্তু
একজন বিচক্ষন লোক সহজে এদের বিছানো জালে ধরা পড়ে না। পুরো ব্যাপারটি যদি ঐ খারাপ
লোকদের একটি ষড়যন্ত্র হয় তাহলে তুমি কিন্তু আবার ওদের জালে ফেঁসে গেলে।
ঐ খরাপ
লোকদেরকে তুমিই সুযোগ করে দিচ্ছো রে ভাই। ওরা ঠাণ্ডা মাথায় জাল ফেলে আর তুমি সেই
জালে ফেঁসে যাও। কারন তোমার মস্তিষ্কে বেশীরভাগ সময় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটে।
হেয়ালিপনা বর্জন না করলে সামনে আরও বিপদ হবে। ঐ খারাপ লোক গুলো তোমাকে আরো
বড় বিপদে ফেলবে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে।
৪। “আপনারা আমার টিমমেটদের জিজ্ঞেস করতে পারেন এ ব্যাপারে। এই তো ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগেই আইপিএল জিতে এসে ওদের বলেছিলাম দেশের হয়ে একটা ম্যাচ জেতাতে যে আনন্দ, সেই আনন্দ কি আর আইপিএল জয়ে আছে।” সাকিব আল হাসান
তোমার মুখে
আমরা এটাই শুনতে চাই। কিন্তু “জাতীয় ক্রিকেট দলে না খেলার হুমকি সাকিবের” এটার উৎপত্তি কোথা থেকে হলো? খারাপ লোকদের কোন অপচেষ্টা নাকি? নাকি রাগের মাথায় তুমি নিজেই বলেছ?
কিংবা, বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুসের এই
বক্তব্য “সে ওখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছে, তাই তাকে বলা হয়েছিল তুমি আগেই ফিরে এসে লংগার ভার্সনের খেলার জন্য প্রস্তুতি নাও। তখন খুব সম্ভবত সে জবাব দিয়েছিল আমি টি-টোয়েন্টিই খেলতে পছন্দ করি, লংগার ভার্সন খেলার দরকার নেই। এমনটাই আমরা শুনেছি।”কতটুকু
সত্যি?
আবার, জালাল
সাহেবের এই “তখন খুব সম্ভবত সে জবাব দিয়েছিল আমি টি-টোয়েন্টিই খেলতে পছন্দ করি, লংগার ভার্সন খেলার দরকার নেই। এমনটাই আমরা শুনেছি।” কথাটিই বা কেমন? ‘খুব সম্ভবত’ এবং ‘এমনটাই আমরা শুনেছি’ এসব ইনএকুরেট কথার কোন মূল্য নেই। কথা হতে হবে একুরেট। আপনার নিজের কথাতে একুরেসি না থাকলে হবে?
সাকিব তোমার
দিকে ১৬ কোটি বাংলাদেশী তাকিয়ে থাকে। তোমার ভক্তকুল অনেক। আর আমার মতো সকিব-ভক্তের
সংখ্যা আরও অনেক। আমরা সর্বদা তোমার পাশেই আছি এবং চিরকাল থাকব। কিন্তু আমরা একজন 'ট্রু আইকন' সাকিবকে চাই। কোন রাগী কিংবা হেয়ালি সাকিবকে নয়। তোমাকে আরও বিচক্ষন হতে হবে।
ধন্যবাদ
ফয়সাল সিজার
No comments:
Post a Comment