An open letter to Cricket Australia

Dear Cricket Australia,

Bangladesh has a great history of struggle and victory against adversity and a unique cultural luxuriance. Tourists all around the world have always been attracted by the beauty of this land since the ancient times.

Travellers and scholars who were attracted by the charisma and illustriousness of Bangladesh since time immemorial showered praises about her wealth and bounties, prosperity, craftsmanship and cultural advancement.

The Ladies of imperial Rome were crazy about the Muslin of Bangladesh and various luxury items while the natural beauties of this land have always left the tourists spell bound.

Despite various ups and downs over the years, Bangladesh has been able to maintain her beauty which still attracts the tourists. The glittering sunshine, the tenderness of the breeze, the tranquility of the river, the chirping of the birds and greeneries will take one to the land of dreams.

Surely, Bangladesh is a land of mysterious dream and intrigue. Few countries in the world can match its rich and varied flora and fauna which are not only a unique biological phenomenon are also a great natural resource of the country.

The people of Bangladesh are hospitable and peace-loving while their passion for sports has earned them plenty of accolades throughout the world. Even though the national game is kabaddi, cricket has a special place in the heart and soul of each and every Bangladeshi.

They not only cheer for their own team but encourage the other teams as well. And for which, the teams which have toured here so far, have always enjoyed a friendly environment.

Many Bangladeshi cricket fans are fond of the Australian cricket team. Cricketers like Allan Border, Steve Waugh, Shane Warne, Glenn McGrath, Steve Smith, Michael Clarke, Mitchell Johnson and Mitchell Starc have plenty of fan followers here and thus, the people of Bangladesh are eagerly waiting for the two-match Test series against Australia which is about to commence from next month.

But sadly, the dark clouds of security concerns have overshadowed the future of this tour and suddenly, your concern about the security matters of Bangladesh has been very surprising.

Recently, there have been no political unrests in Bangladesh and the current political status of the country is stable. You have raised the concerns about travelling to the Chittagong Hill tracts region which, according to your sources is an unstable area politically.

But thankfully, the political status of that area is also steady. Chittagong is one of the must-visit-places of Bangladesh and the Australian will enjoy a lot while staying there.

We encourage your concern about the safety of your players, but I shall like to state that, Bangladesh always provides the security of supreme quality to the touring teams and last year’s World Twenty20 was the perfect example of that. Despite the existing political unrests, the Bangladesh government and the cricket board rose to the occasion to make the tournament a great success which is a part of Bangladesh cricket’s folklore.

It is expected that you and your team will be highly satisfied with the security arrangement of Bangladesh and Bangladesh will leave no stone unturned regarding the safety issue of the players.

Cricket unites the Bangladeshis. Cricket is the heartbeat of this nation. The last time the Bangladeshis witnessed a Test match between Bangladesh and Australia was way back in 2006. With the passage of time, Bangladesh have developed into a fearless unit and it is expected that the contest will not be dull, but a fascinating one which will only enrich Test cricket.

This tour must not meet a sad end. Bangladesh are ready to welcome Steve Smith and his men cordially. Let cricket be the ultimate winner.
  

With regards

A cricket fan from Bangladesh


Note: This article has been published in Sportskeeda on 27/09/2015 An open letter to Cricket Australia

Thank You

Faisal Caesar

অভিনন্দন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের, অভিনন্দন শেখ হাসিনাকে

আন্দোলন সফল করার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। একটি আন্দোলন যে শান্তিপূর্ণ ভাবে হতে পারে সেটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেখিয়ে দিলো। আন্দোলন মানেই যে গোলাগুলি, বোমাবাজি, গাড়ি ভাংচুর কিংবা কোন রাজনৈতিক দলকে পুঁজি করে অস্থিরতা সৃষ্টি করা না সেটা মনে হয় কিছু নিচু মনের মানুষদের মাথায় ঢুকেছে। 

এই সরকার কঠিন হৃদয়ের নয়। জনগন যদি কথা বলতে চায় তাহলে এই সরকার তাদের কথা শুনতে ইচ্ছুক। সুপিরিয়োরিটি কমপ্লেক্সে এই সরকার আক্রান্ত নয় এবং পিছিয়ে যাওয়াকে উনারা দুর্বলতা ভাবেন না। দেশ এবং জাতির কথা তারা ভাবেন। এই সরকার চায়, দেশের জনগন তাদের কথা নিজেরা বলুক, কোন ফেসবুক কিংবা টকশোর সেলেব্রিটি অথবা সুশীল নয়। একজন সুশীল কিংবা ফেসবুক সেলেব্রিটি জনগনকে প্রতিনিধিত্ব করে না।   

 

যারা বসে, বসে ভাবছেন যে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর রেশটাকে অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য সরকার এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়েছে তাহলে বলতেই হয় তাদের মস্তিস্ক রাজনৈতিক জীবাণুর আক্রমনের কারনে ক্ষয়ে যাচ্ছে। কোন সরকারই পারফেক্ট নয় তবে সব সরকারেরই ভালোমন্দ দিক থাকে। ভালো দিক গুলোর প্রশংসা করলে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না। 

পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ!  

ধন্যবাদ

ফয়সাল সিজার     

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভঃ খেয়াল রেখো, তোমাদেরকে কেউ যেন ব্যবহার করতে না পারে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবাই কোটিপতি বাবার ছেলেমেয়ে না। আমি একটি বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করা ছেলে। আমার বাবা কোটিপতি ছিলেন না। সরকারি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দেবার ঠিক দুই সপ্তাহ আগে আমার চিকেন পক্স এবং জণ্ডিস একসাথে হয়েছিলো। পক্সের তীব্রতা একটু কমে যাবার পর খুবই অসুস্থ শরীর নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু চান্স পাই নাই। ঢাকা ভার্সিটিতে 'ক' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ঠিক তিনদিন পূর্বে আমার সোলডার ডিসলোকেসন হয়েছিলো। ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্নটা ও শেষ হয়ে যায়। ইয়ার লস হবে দেখে আমার মা আমাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান।

আমার ব্যাচে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিলো প্রায় ১১৫ জনের মতো। অবশ্যই আমাদের ব্যাচে উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা ও ছিলো, কিন্তু ১১৫ জনের মধ্যে সবাই উচ্চবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসেনি । প্রায় ৭০ থেকে ৮০-ভাগ ছাত্রছাত্রীই আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যাক গ্রাউন্ড।  

কিন্তু এই দেশের একটি  গোষ্ঠী  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়  এবং মেডিকেল কলেজ গুলোর ব্যাপারে খুবই বাজে ধারনা পোষণ করে থাকেন।  এদের মতে,  যেসব ছাত্রছাত্রী বেসরকারি মেডিকেল কিংবা  বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে পাশ করে  তারা সবাই কোটিপিত বাপের ছেলেমেয়ে এবং এদের কোন যোগ্যতাই নেই।  আজব মানুষজন! কোটিপতি লোকজন কি বাংলাদেশের গাছে, গাছে ঝুলে নাকি? আর যোগ্যতা নেই মানে? এসব বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা জীবনে কতটা সাফল্য অর্জন করছে সেটা কি আপনারা জানেন? যারা অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করে তারা আর যাই হোক বড় মনের মানুষ নন। তাদের মানসিকতা খুবই ছোট।  

একটি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে কিংবা মেয়ে যখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তখন  তাদের পড়ার খরচ যোগাতে বাবা মায়ের কতটা কষ্ট হয় সেটা কি ৭.৫% ভ্যাট নির্ধারকগন বুঝতে পারেন? কোন নিয়ম ঘোষণা করারা আগে একটু চিন্তা ভাবনা করা কি উচিৎ নয়? সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোতে ৭.৫% ভ্যাট আরোপ করে দেখান তো? সেই সাহসটা কি আছে আপনাদের?  

আমি আমার পরিবারকে দেখেছি কতটা কষ্ট করে আমার এবং আমার বোনের পড়ার খরচ যোগাতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সবাই উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ে না সেটার আরও একটি প্রমান হলো, রাস্তায় নামা বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রী  গুলোর ইস্পাত কঠিন মুখ গুলো। একটি কথা মনে রাখবেন, বিপ্লব গুলো মধ্যবিত্ত ঘর থেকেই আসে, বিত্তবানেরা বিপ্লব করতে পারে না। যুগে, যুগে অধিকার আদায়ের  আন্দোলন ঐ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত সমাজের লোকরাই করেছে।  

অন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ করতে বাঁধা নেই কিন্তু মনে তখনই খটকা লাগে যখন দেখি আন্দোলনের বেগটা কেমন যেন অদ্ভুত। মানে, খটকাটা এরকম যে, পেছন থেকে কোন তৃতীয় পক্ষ একটি সৎ উদ্দেশ্যকে টুইস্ট করে আরও বেশী বেগ দিয়ে সেটাকে ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে না তো? বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রছত্রীরা কোন অরাজগতা করবে না কারন তারা যে পরিবেশে পড়ালেখা করে সেখানে রাজনীতির কোন স্পর্শ নেই।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রাজনীতি করে না। কোন আন্দোলন কিভাবে করবে সেটার অভিজ্ঞতা ও তাদের নেই। তাদের এই আন্দোলন যেন খারাপ দিকে না যায় সেটা মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীকেই খেয়াল করতে হবে। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলে ভালো হবে। আমি মনে করি, উনি তোমাদের কথা শুনবেন।

খেয়াল রেখো, তোমাদেরকে কেউ যেন ব্যবহার করতে না পারে।

ধন্যবাদ

ফয়সাল সিজার

Brazil v USA, International Friendly 2015 - The Brazilians were impressive

After a dull display against Costa Rica and digesting plenty of harsh criticism, the Selecao scripted a scintillating exhibition of entertaining football against the USA today. From the word go, Brazil started to dominate the proceedings. They were in a counterattacking rhythm and it was good to see Brazil relying more on their traditional way of passing and creating enough space and opportunities. The Selecao completed their ten consecutive victories against the USA.

It was Hulk, who gave Brazil the lead in the first-half and the injection of Neymar, Lucas Moura and Rafinha in the second half took Brazil’s game to a different level – they looked more penetrative and commanding. Neymar netted two while Rafinha scored one to complete a satisfactory win.

The wing-backs, midfielders and Lucas Moura had been impressive, but personally, I was impressed with Lucas Lima. This young man offered plenty of tempo and movement today and played like an ideal attacking midfielder in a 4-5-1 formation. Brazil do have brilliant options, but they are needed to be utilized in the right way. I repeat, Dunga must stick to Brazil’s traditional style of football.

Yet another victory for Carlos Dunga in an international friendly, but they are not enough to satisfy the fans until and unless he does well in the major tournaments.

Thank You
Faisal Caesar 

Neymar blasts Dunga - It was needed

Neymar had hit out at Brazil coach Carlos Dunga after being benched for Brazil's victory against Costa Rica. My gut feeling says that, Carlos Dunga has never been a fan of the pool of talents which burst into the scene during the 2010-11 season: Neymar, Pato, Ganso, Thiago Silva, Oscar, Lucas Moura etc.

I still remember how one of my Brazilian friends once praised these players  during that time. If you closely observe then you will notice that Dunga always tries to ignore the above mentioned names. He has sidetracked Ganso long time back, Pato is ignored despite being in tremendous form, he tries to utilize Oscar as a defensive midfielder at times and backs Willian too much while his attitude towards Lucas Moura and Thiago Silva has not been chummy.

He can't sidetrack Neymar​ as because Neymar is an extraordinary talent and has a strong support from the fans and even if he does try to dent Neymar, Dunga's reign will meet a pathetic end and I think Dunga's reign must come to an end. I am happy that Neymar blasted Dunga​. It was much needed and Dunga deserves more of such responses because of his pathetic tactics and team selection.  

I though that Dunga will change during his second regime, but sadly, a dog’s tail will never be straightened.

As a loyal supporter of the Seleção​ it's pretty tough for me to accept the wastage of talents.

Thank You

Faisal Caesar 

Brazil v Costa Rica, International Friendly 2015 - Brazil were unimpressive

Brazil’s performance was not satisfactory last night. They were unimpressive throughout the match. According to coach Carlos Dunga, “It’s normal after a long time off. You can’t have a perfect game. Lot of things we practiced in training came out well and we can do them even better. I liked how this team performed.” Well, he defended his team’s performance like his way of defending, but in my opinion, Dunga seems to be running a team where there is a lack of freedom.

The Selecao always relishes freedom and when they are given the opportunity to play freely, they script the best of football displays. How long Dunga can move on with his pragmatism remains a moot question. I can’t term Dunga’s tactics as compactness which was evident till the international friendly against Austria last year. The Austrian holding midfielders dented Brazil’s languidness last year and suddenly, Dunga switched back to his 2008-to-2010-style-of-play: safety-first option.

Brazil these days score a goal and then defend it like the Italians used to do in the 80s and 90s. It suited Italy very well, but in the case of Brazil, they can never be the option as the style of Latin American football is not that. Dunga’s such a tactic got backfired in the Copa America and if he sticks to his pragmatic style, Brazil will suffer big time in the upcoming World Cup qualifiers.

Brazil have always played to score goals and delight the fans and experts with their samba style. The safety-first option has never been Brazil’s style. Sadly, Dunga doesn’t realize this despite having so many better options.

Thank You

Faisal Caesar 

England v Australia, 2nd ODI, Lord's - Were the Australians wrong?

So,  what happened at Lord’s yesterday?

While chasing Australia’s competitive total, England were well poised at 141 for 3 in the 26th over. In the fourth ball of over 26. Mitchell Starc banged in a fuller delivery at pace on the stumps to Stokes. Stokes hit the ball straight back to Strac who flung the ball back to the stumps at the batting end and Stokes, who was out of the crease, stopped the ball from hitting the stumps with his left glove. Or, it might be described in this way, Stokes tried to protect himself from Starc’s throw with his left glove, lost his balance and fell on the ground.

Mathew Wade went up. Starc appealed and after a bit of discussion, Ben Stokes was given out obstructing the field. The whole scenario has triggered a massive debate around the cricketing world and of course, there were boos around Lord’s yesterday regarding the matter.

Let us see what the Law says. According to Law 37, “Either batsman is out obstructing the field if he willfully attempts to obstruct or distract the fielding side by word or action.  In particular, but not solely, it shall be regarded as obstruction and either batsman will be out Obstructing the field if while the ball is in play and after the striker has completed the act of playing the ball, as defined in Law 33.1, he willfully strikes the ball with

(i) A hand not holding the bat, unless this is in order to avoid injury.  See also Law 33.2 (Not out Handled the ball).

(ii) Any other part of his person or with his bat.  See also Law 34 (Hit the ball twice).”

Well, what the law states that, if the batsman intentionally tries to distract the fielding side in any manner, he will be regarded as “Obstructing the field.”

Perhaps the word “intentionally” has torched the fire of anger among the fans. The more you see the whole scenario in real time, you always think that, Stokes was trying to save himself and his action was not intentional. But in professional sports, you don’t wish to be that soft towards your opponent and utilize each and every opportunity  that shows up.

In my opinion, Australia had the right to appeal against Stokes and then it was up to the umpires to decide the matter. It was clear that Stokes hand was away from his body when he stopped the ball thrown at him with the same hand and according to the law, such an act performed by the batsman will be given out regardless of any other fact, or following event.

The umpires were well within the laws to declare Stokes out yesterday and if that is the matter, then what is the reason for pointing finger towards Smith and his men?

Just imagine yourself as a bowler in place of Starc. What would you have done if you notice the batsman out of his crease? Just think calmly. Wouldn’t your reflexes force you to throw the ball at the stumps to run the batsman out? Now, if the batsman stops the ball with his arm intentionally or unintentionally, wouldn’t you appeal? Yes, you would have appealed and in my opinion, you should appeal. Why shouldn’t you appeal when there is a term in cricket called “Obstructing the field.”

Think again!

Thank You

Faisal Caesar 

বেসরকারি মেডিকেল কলেজঃ নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পরিবর্তন করুন

এই বছরের মে মাসের দিকের ঘটনা। মেডিসিন বিভাগ থেকে একটা রেফারেল আসলো আমাদের ইউনিটে। আমার ইউনিট প্রধান এবং সহকারি রেসিডেন্ট ক্যাথল্যাবে থাকায় আমি ঐ রেফারেলটা ডিল করি। যে লোক রেফারেল নিয়ে এসেছিল সে ছিল রোগীর ছেলে। উনি আমাকে ক্রমাগত বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগলেন আমি সেগুলোর উত্তর দিতে থাকলাম এবং তার বাবার কি লাগবে আর না লাগবে সেগুলো বুঝিয়ে বলতে থাকলাম। আমার সাথে কথা বলে উনি বেশ স্যাটিসফাইড হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেছেন?” আমি উত্তর দিলাম, “আমি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেছি”।

আমার উত্তর শুনে লোকটির মুখের হাসি মিলিয়ে গেল এবং কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, “ও, আমি তো ভেবেছিলাম......ঠিক আছে আমি আসি।” আমি বলেছিলাম, “কেন বাংলাদেশ মেডিকেল নামটা পছন্দ হয়নি বুঝি?” উনি কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন।

আমার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। এরকম মন খারাপ অনেকবারই হয়েছে। তবে এগুলো হজম করে ফেলি।

উনার রিএকশন দেখে বুঝেই ফেলেছিলাম যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং সেখান থেকে পাশ করা ডাক্তারদের ব্যাপারে উনার ধারনা ভালো নয়। আর এই ধারনারটা তৈরির পেছনে আমাদের দেশেরই কিছু লোককে অবশ্যই দায়ী করা যায় যারা কোন কিছু না জেনে, না বুঝে বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করা ডাক্তারদের খুবই খাটো করে দেখে। কেউ, কেউ অবশ্য জেনে বুজেই করে।

দেখুন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একজন ছেলে কিংবা মেয়ে টাকা দিয়ে ভর্তি হয় ঠিকই কিন্তু যত টাকাই খরচ করুক না কেন, সেই ছেলে কিংবা মেয়ে যদি পরিশ্রমী কিংবা পড়ুয়া না হয় তাহলে সে কোন ভাবেই ভালো ডাক্তার তো দূরের কথা, পোস্টগ্রাজুয়েশনের বাঁধাই পাড় করতে পারবে না।

নিজেদের চোখে পড়ে থাকা কালো চশমাটা খুলে একটু দেখুন, বেসরকারি মেডিকেল থেকেও এফসিপিএস, এমডি, এমএস, এমআরসিপি, এএমসি কিংবা ইউএসএমইলি পাশ করা ছেলেমেয়েরা বের হচ্ছে। বেসরকারি মেডিকেল থেকেও বিসিএস পাশ করে সরকারী চাকরি করছে অনেকেই। বেসরকারি মেডিকেলে পড়লেই যে সে কিছুই পারে না কিংবা কিছুই করতে পারবে না এই ধারনার বশবর্তী হয়ে থাকলে আপনি নিঃসন্দেহে ভুল করছেন।

দেখুন, আমি বেসরকারি মেডিকেলের ছাত্র এবং আমি যেসব পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছি এবং করি সেগুলো খুবই ডিসকারেজিং। আমাকে প্রথমেই বাদের খাতায় ফেলা হয়েছে বহুবার এবং সেখান থেকে নিজেকে আস্তে, আস্তে প্রমান করে আসতে হয়েছে। আমার মতো অনেকেই আছেন যারা অনেক ডিসকারেজিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হন কিংবা হয়েছেন।

ক্লিনিক্যাল সাইডে বেসরকারি মেডিকেল সরকারি মেডিকেলের চেয়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছে। কিন্তু তারপরও বেসরকারি মেডিকেলের পাশ করা ডাক্তারেরা কিন্তু থেমে নেই।

তারা বিভিন্ন সরকারি মেডিকেলে ট্রেনিং এবং বিসিএস করে ট্রেনিং পোস্টে এসে অনেক কিছুই শিখছে এবং বেশ ভালো করছে। এদের কষ্টের পরিমানটা ও বেশী হয়। কারন অনেক ক্ষেত্রেই এদের মোরাল সাপোর্ট সেরকম থাকে না যেটা একজন সরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করা ডাক্তারদের থাকে।

সম্প্রতি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির ন্যূনতম পাশ মার্ক বলে ১০০-তে ২০ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি এই নিয়মের পক্ষে না। কারন ১০০-তে ২০ পাওয়া একটি ছেলে কিংবা মেয়ের মেডিকেল পড়ার যোগ্যতাই থাকতে পারে না। এমনিতেই বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করা একজন ডাক্তার ব্যাকফুটে থাকে, তার ওপর এই আজগুবি নিয়ম তো এদের ইমেজ আরও খারাপ করবে।

আচ্ছা যারা বেসরকারি মেডিকেলে ভবিষ্যতে পড়বে তাদের সবাই কি ২০ পেয়ে ভর্তি হবে? এরকমটি তো হবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ, বারডেম মেডিকেল কলেজ, হলি ফ্যামিলি কিংবা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে অনেক ভালো-ভালো ছেলেমেয়েরা ও ভর্তি হবে। এখন এই ২০-মার্ক-নামক-জোক দিয়ে কি তাদেরকে বিচার করা ঠিক হবে? অবশ্যই ঠিক হবে না।

নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পরিবর্তন করুন। মানুষকে উৎসাহ দিতে শিখুন।

ধন্যবাদ 

ফয়সাল সিজার