Monday, August 28, 2017

সৌম্য সরকার টেস্ট খেলতে জানে না?


অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্রথম টেস্টের পূর্বে সৌম্য সরকার এই বছর মোট চারটি টেস্ট খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, সাউথি এবং ওয়েগনারের বিরুদ্ধে হেগলি ওভালের উইকেটে সৌম্য প্রথম ইনিংসএ করেছিলেন ৮৬ এবং দ্বিতীয়তে ৩৬। ভারতের বিরুদ্ধে হায়দ্রাবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে রান করেছিলেন ৪২। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭১ এবং দ্বিতীয়তে ৫৩। কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৬১। এই টেস্টের পূর্বে, টেস্টে সৌম্যর ব্যাটিং গড় ৪৬ ৭৫। বলে রাখা ভালো, সৌম্য এই রান গুলো ওপেনিং পজিশনে ব্যাট করেই করেছিলেন।

ওপরের লেখা পড়ে কি এখনও বলবেন, সৌম্য টেস্ট খেলতে জানে না!

ইমরুল কায়েস ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করতে চান। তিন নম্বর পজিশনে উনি স্বস্তি বোধ করেন না। ভালো কথা। কিন্তু তিন নম্বর পজিশনে উনার ব্যাটিং গড় ২৯.৭১ এবং ওপেনিং যেটা ২৭.৩৫২০১৫ সালে কায়েসের ব্যাটিং গড় ছিলও ৫৪ যেটা ২০১৬ তে এসে দাড়িয়েছে ৩৫ ৭৫ এবং ২০১৭ তে ১৭.৭৫। বলে রাখা ভালো, ২০১৬-তে কায়েস ওপেনিং পজিশনে খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের সাথে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রানের ইনিংস ছাড়া তিনি কি আর কিছু করতে পেরেছিলেন?

কায়েসের ব্যাপারে পরিসংখ্যান বলে তার ধারাবাহিকতার অভাব এবং সৌম্যের ব্যাপারে পরিসংখ্যান তার ব্যাটে ধারাবাহিকতা আছে।

এখন আপনি নিজে বিবেচনা করুন।

একজন অফফর্ম ব্যাটসম্যানকে বারবার সুযোগ দেওয়াকে কি তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র নাকি তাঁকে ফেরানোর ফর্মুলা? চান্ডিকা কি কায়েসের ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে চান না গড়তে চান? একজন ব্যাটসম্যানের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ রান করা ব্যাটিং পজিশন নয়। তাহলে ক্যারিয়ারের বেশীরভাগ সময় ধরে তিন নম্বরে ব্যাট করতে থাকা জাস্টিন লেঙ্গার কখনও সর্বকালের সেরা ওপেনারদের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে পারতেন না।

এখন সৌম্যের ব্যাপারে আসি। একজন ব্যাটসম্যান ওপেনিং পজিশনে নিয়মিত রান করে আসছেন এই বছর। তাকে কি হুট করে বাংলাদেশী কিছু গাড়ল রিপোর্টার এবং তাদের মুরিদদের কথায় বাদ দেওয়া উচিৎ? একটি দেশের ক্রিকেট টিম গঠন যদি স্পোর্টস রিপোর্টারদের ফেসবুক পোষ্টের ওপর ভিত্তি করে হয় তাহলে সেই দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ ভালো হবার কথা নয়।

২০১৪ সালেও এই ফেসবুকের সেলেব্রিটি রিপোর্টার এবং তাদের মুরিদরা তামিম ইকবালকে বাদ দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। এই তামিম ও সৌম্যের মতো করেই আউট হতেন। এসব সেলেব্রিটিদের কথায় তামিমকে বাদ দিলে আজকে এই তামিমকে কি পেতাম? এদের “তামিম কালা পারে না” স্লোগান তো আমার মনে আছে। অনেক সমালোচনা সহ্য করেও আমি বলেছিলাম তামিম ফিরে আসবে এবং সে ফিরে এসেছে। ওকে ফিরিয়েছে চান্ডিকা। ফেসবুকের কোন সেলেব্রিটি রিপোর্টার না।           

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উচিৎ এসব ব্যাপারে বেশী কঠোর হওয়া। একটি সুন্দর আগামীর জন্য কিছু রিপোর্টারদের ব্যাপারে বিসিবিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ধন্যবাদ 
ফয়সাল সিজার             

No comments:

Post a Comment