জনাব
আনিসুল হক। আমার সালাম নিবেন। আপনি
নিজে যে একজন সেরা মানের
কুয়োর ব্যাঙ সেটা আপনার সস্তা লেখা দিয়ে আবারও প্রামান করলেন। আপনাকে আমি কুয়োর
ব্যাঙ বলে সম্বোধন করলাম কারন, এই দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সম্পর্কে
আপনার কোন ধারনাই নেই। প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে আপনার মতো কুয়োর ব্যাঙের
অবস্থানের কারনেই ওটার মান দিনের পর দিন নীচের দিকে যাচ্ছে।
কিছু
নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিবেচনা করে আপনি সব গুলোকে একই কাতারে বিচার
করেন কিভাবে? এই দেশে কিছু সাংবাদিক খারাপ তাই বলে কি সবাই খারাপ?
বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জঙ্গি তৈরি হচ্ছে বলে আপনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় কিন্তু
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন রাম দা নিয়ে সোনার ছেলেরা মিছিল বের করে তখন আপনার
চেতনা কি ঘুমিয়ে থাকে?
আমি
বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করা ছেলে। আমার আশেপাশে আপনার মতো কিছু কুয়োর ব্যাঙ আছে
যারা আমাদেরকে খুব খাটো করে দেখে। আমরা ভাই রাম দা কিংবা বন্দুক ধরতে শিখিনি
কিন্তু কাজে উত্তর দিয়ে শিখেছি। আমার কাজ ওদের মুখে থাপ্পর মেরে দেয়।
আমি নিজের যোগ্যতার ব্যাপারে একটু ধারনা দেইঃ
১। আমি বাংলাদেশ মেডিকেল নামক একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এম, বি, বি এস পাশ করা একজন ডাক্তার।
আমি নিজের যোগ্যতার ব্যাপারে একটু ধারনা দেইঃ
১। আমি বাংলাদেশ মেডিকেল নামক একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এম, বি, বি এস পাশ করা একজন ডাক্তার।
২। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম, বি, বি, এস কে তো আপনি দাম দিবেন না। তাই ইন্টারনাল মেডিসিন নামক খুবই কঠিন বিষয়ে এমডি করছি। তাও আবার নন–রেসিডেন্সি।
৩। আমি এখন পর্যন্ত জাতীয় হৃদরোগ, বক্ষ ব্যধি হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ারদি হাসপাতালে ট্রেনিং করেছি।
৪। জাতীয় হৃদরোগে ট্রেনিংরত অবস্থায় আমি ইন্টারভেন্সন করেছি। আমার ডান হাতটা অকেজো বলে ইন্টারভেনশন কার্ডিলজিতে আর আগাতে পারিনি। কার্ডিওলজি বিষয়টা ও এড়িয়ে চলতে হয়েছে।
কিন্তু
থেমে থাকবো কেন? মেডিসিনে তো ক্যারিয়ার করা যায়।
করছিও।
৫। আমি টিভিতে নাটক করেছি এবং দুটো বাংলা সিনেমাতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছি।
৬। সেন্ট জোসেফে হাই স্কুলের সাইন্স ফেয়ারে ইন্টার স্কুল প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছাত্র।
৭। নিজের পেশাগত কাজ এবং পড়ালেখার পাশাপাশি আমি একজন ক্রিকেট লেখক। তবে আমি এই দেশে লিখি না। এই দেশের বড় ভাই এবং আপনার সাগরেদরা সুযোগই দিলো না। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ভারত আমাকে সুযোগ দিয়েছে। যোগ্যতা না থাকলে কি আমাকে তারা সুযোগ দিত?
৮। নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে এখন পর্যন্ত আমি এবং আমার বেসরকারি মেডিকেলের বন্ধুরা তিন, তিনটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। হ্যাঁ, নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে।
৫। আমি টিভিতে নাটক করেছি এবং দুটো বাংলা সিনেমাতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছি।
৬। সেন্ট জোসেফে হাই স্কুলের সাইন্স ফেয়ারে ইন্টার স্কুল প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছাত্র।
৭। নিজের পেশাগত কাজ এবং পড়ালেখার পাশাপাশি আমি একজন ক্রিকেট লেখক। তবে আমি এই দেশে লিখি না। এই দেশের বড় ভাই এবং আপনার সাগরেদরা সুযোগই দিলো না। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ভারত আমাকে সুযোগ দিয়েছে। যোগ্যতা না থাকলে কি আমাকে তারা সুযোগ দিত?
৮। নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে এখন পর্যন্ত আমি এবং আমার বেসরকারি মেডিকেলের বন্ধুরা তিন, তিনটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। হ্যাঁ, নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে।
৯। এই
জীবনে অনেক এক্সট্রাকারিকুলার কাজ করেছি। হাতের কারনে বন্ধ করতে হয়েছে।
থাক আর
নাই বা বললাম।
এতটুকুই
মনে হয় যথেষ্ট।
এখন, একজন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে কি আপনার কুয়োর ব্যাঙ মনে হয়?
নিজের
মনের মাধুরি মিশিয়ে গল্প ফাঁদা বন্ধ করুন।
আর
কত?
ধন্যবাদ
ফয়সাল
সিজার
No comments:
Post a Comment