আগের দিনে স্কুল, কলেজ এবং ভার্সিটি পড়ুয়া মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পকেট বেশীর ভাগ সময় গড়ের মাঠ থাকত। কোনদিন একশো টাকা পকেটে আসলে তারা নিজেদেরকে রাজা কিংবা রানী মনে করতেন। কিন্তু সেই টাকার সবটাই তারা খরচ করে ফেলতেন না। বরং টাকার কিছু অংশ জমিয়ে রাখতেন। অতঃপর, টাকা জমানোর একটা অভ্যাস তাদের মধ্যে গড়ে উঠত। যতটুকু খরচ করতেন সেটা হয় ডাকটিকিট, কমিক্স কিংবা নীলক্ষেত থেকে কমদামে বই কেনার কাজে খরচ করতেন।
ছাত্রজীবনের
গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলোতে তাদের পকেট শুন্য থাকত বলেই হয়ত উনারা উচ্ছন্ন কিংবা
বেপরোয়া হয়ে যেতেন না।
কিন্তু এখন
একজন স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ের কাছেও হাজার-হাজার টাকা থাকে। এদের ইনকাম সোর্স গুলো
বেশ অদ্ভুত। এই যেমন, সেদিন এক ছোট
ভাইয়ের কাছে শুনলাম, কোন এক ফেসবুক
গ্রূপে পোস্ট এপ্রুভ করতে বলে এডমিনরা টাকা নেয়। আবার কারো পোস্ট শেয়ার এবং লাইক
দিতে অর্থাৎ তাকে ফেমাস বানাতে ও বেশ ভালো আয় রোজকার হয়। আরও কিছু শুনেছি সেগুলো
নাই বা বললাম।
যখন টাকা
এভাবে পকেটে চলে আসে তখন বখে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এরকম বয়সে টাকার ব্যাবহার
ছেলেমেয়েরা সঠিকভাবে বুঝে না আর তাই একটা অদ্ভুত ইউফরিয়ার বশবর্তী হয়ে তারা নিজের
অজান্তেই ভুল পথে পা বাড়ায়। হারিয়ে ফেলে পথ।
ছাত্রজীবনে
শুন্য পকেট মানুষ হতে শেখায়। পকেট বেশী ভরে গেলে চোরাবালিতে পড়তে হয়।
ধন্যবাদ
ফয়সাল সিজার
No comments:
Post a Comment