Friday, November 6, 2015

নির্বাচকরা ভুল কিছু করেননি




এনামুল হক বিজয়ের কে না নিয়ে ইমরুল কায়েসকে কেন দলে নেওয়া হলো সেটা নিয়ে অনেক বিজয় ভক্তের মন বেশ খারাপ। আমি নিজেও বিজয়ের ভক্ত তবে আবগে দিয়ে চিন্তা করি কম। আমার মনে হয়, সৌম্যের ইনজুরির পর তামিম ইকবালের পার্টনার হিসেবে নির্বাচকদের কাছে অপশন ছিলো তিনটি – ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয় এবং সদ্য ফর্মে ফেরা শাহরিয়ার  নাফিস।

নাফিস দলে চান্স পাবে না কারন তার চেয়েও বেটার অপশন হলো বিজয় এবং কায়েস। নাফিসের ব্যাট অনেক পরে হেসেছে এবং এত পরের হাসি গুলো সহজে চোখে পরে না। পৃথিবীটা খুবই প্রাকটিক্যাল। তবে পজেটিভ দিক হলো, নাফিসের ফর্মে ফেরাটা বাংলাদেশকে আরও ভালো অপশন দিলো। এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে হয়ত টেস্টে সে কাজে আসতে পারে।

এখন, বিজয় এবং কায়েসের মধ্যে কাকে নেওয়া যায়? ২০১৫ সালে তামিম ইকবালের সাথে সৌম্য এবং কায়েস খুবই ভালভাবে মানিয়ে নিয়েছে এবং তামিমের সাথে সৌম্য এবং কায়েসের জুটি একদিনের এবং টেস্ট ক্রিকেটে মোটামুটি এসট্যাবলিসড এবং সেই চিন্তা করে নির্বাচকরা হয়ত সৌম্যের অনুপস্থিতিতে তামিমের সাথে ইমরুলকে যোগ্য হিসেবে মনে করেছেন।

বিজয়ের টাইমিং খুবই ভালো কিন্তু তার ফুটওয়ার্ক তাকে বেশ ভুগিয়েছে। আমি এসব মানতে রাজী নই যে বিজয় সেলফিস এবং খুব স্লোলি ইনিংস গড়ে আর তার ঐ স্লো বিল্ড-আপের জন্য দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের উপর প্রেশার পড়ে। উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে যদি একটু সময় খরচ করতে হয় তাহলে দোষের কি আছে? মারদাংগা ২০ রানের চেয়ে আস্তে, আস্তে ইনিংস গড়ে তোলার গুরুত্ব একদিনের ক্রিকেটে এখনও শেষ হয়ে যায়নি।  

কায়েস ও ইনিংস স্লোলি বিল্ড করে। তাহলে বিজয়কে কেন দোষ দেওয়া হবে? কিন্তু আবগের বশবর্তী না হয়ে একটু গভীরভাবে যদি এই বছরের পারফর্মেন্স এবং ব্যাটিং পার্টনারদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর ব্যাপারটি যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে   তামিমের সাথে কায়েসের জুটি বেশ কার্যকর হবে। নির্বাচকেরা ভুল কিছু করেননি।   

তবে বিজয়ের দুঃখ পাবার কিছুই নেই। সব ক্রিকেটারের জীবনে এমন কিছু সময় আছে যখন কোন কিছুই ঠিক মতো হয় না। এটা নিতান্তই একটি লীন-প্যাচ যেটা কেটে যাবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিজয় ফর্মে আছে এবং সেটা যেন সে ধরে রাখে। আশা করি, খুব শীগ্রই জাতীয় দলে আবার তাকে ব্যাট করতে দেখব।  

ধন্যবাদ 
ফয়সাল সিজার            
             

No comments:

Post a Comment