সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামতি প্রোক্টর
মহাশয়ের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। বাংলা নিউজ ২৪-এর মতে ‘নিহত’ রোগীর পরিবারকে
সেন্ট্রাল হাসপাতাল মানবিক সহায়তা দিবে। নিহত মানে কি? রোগী মরলে কি
তাকে নিহত বলে নাকি? বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকরা জীবনেও রেক্টিফাই হবে না। কুকুরের লেজ
টানলেও সোজা হয় না। এরাও সোজা হবে না।
এদিকে, সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত আফিয়া জাহানের পরিবারকে যে মানবিক
সহায়তা দিতে রাজি হলো, তো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সন্তানেরা
যে চিকিৎসকদের মেরে তক্তা বানালো সেটার ক্ষতিপূরণ কি ঢাবির প্রোক্টর মহাশয় দিবেন?
সেন্ট্রাল
হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সেই ব্যাপারে কোন কথাই বললেন না কেন? কিসের ভয়ে এবং
কাদের চাপে তিনি এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের সবাইকে ছোট করলেন?
আমি বেশ কিছুদিন পূর্বে বলেছিলাম, সব আন্দোলনেই
শেষমেষ এই চিকিৎসকদেরকেই মামু হতে হয়। আবারও মামু হলাম। শুধু আমি না। গোটা চিকিৎসক
সমাজই মামু হয়েছে।
যদি সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকরা পাল্টা মামলা করতেন
তাহলে বলে আইনি জটিলতা হতো। আমি আইনের বিশেষজ্ঞ নই তাই বুঝতেও পারিনি কি জটিলতা
হতো। কিন্তু মন বলে পাল্টা মামলা করলে হয়ত ভালো হতো।
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় প্রফেসর এবিএম আব্দুল্লাহ স্যার ছাড়া
আদালত হতে জামিন প্রাপ্ত বাকি সাতজন হলেন ডাঃ এ,এস,এম মাতলুবুর
রাহমান, ডাঃ মুর্তজা, ডাঃ কাসেম ইউসুফ, ডাঃ মাসুমা
পারভিন, ডাঃ মাকসুদ পারভিন, ডাঃ জাহনারা বেগম মোনা এবং ডাঃ তপন কুমার
বৈরাগী। খুবই অবাক লাগছে এই ভেবে যে এখন পর্যন্ত এদের কাছ থেকে কোন বক্তব্য আসেনি
কিংবা এদের থেকে কেউই সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা চিকিৎসকদের ওয়েবসাইট গুলোতে কোন কথা
কেউ বলেনি। এরা চুপ কেন? নাকি এদেরকে চুপ থাকতে বলা হয়েছে?
এই ডামাডোলের মধ্যে কি হয়েছে? ম্যাটসের
শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আশার আলো দেখছে এবং ঐদিকে সেই কালো
স্বাস্থ্য আইন কোনদিকে যাচ্ছে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। আরও কি, কি হয়েছে কে
জানে?
কোথাও কাহিনীর সূত্রপাত ঘটলে এবং সেটা একটি ইস্যুতে পরিণত হলে,
শুরু
হয় জটিল এবং কুটিল খেলা যেটা বোঝা আমাদের মতো সাধারণদের পক্ষে সম্ভব নয়। হ্যাঁ,
আমরা
কিছু আঁচ করতে পারি কিন্তু এই খেলা গুলোর সমাপ্তির যে রেষ সেটার হ্যাংওভার কিন্তু
অনেকদিন টানতে হয়। যদিও আরও একটি ইস্যু এসে সেই হ্যাংওভারকে সরিয়ে নতুন হ্যাংওভার
উপহার দিয়ে যায়।
সব খেলাতেই পর্দার পেছনে কাহিনী থাকে। এই খেলাতেও আছে। যারা সামনে এত
গর্জন দিলো হয়ত তারাই পর্দার আড়ালে থেকে সবকিছু ‘ফিক্স’ করেছে।
কে জানে?
ধন্যবাদ
ফয়সাল
সিজার
No comments:
Post a Comment